বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, মহামারীর সাধারণ ছুটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তার সবচেয়ে বড় সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত। মহামারীকালীন সাধারণ ছুটিতে অনলাইন ক্লাসের সর্বোচ্চ ব্যবহারই এর প্রমাণ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
তাকে সংবর্ধনা জানাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও শিক্ষার স্রোত অব্যাহত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সরাসরি ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনের এই চর্চা ধরে রাখতে হবে এবং এ লক্ষ্যে ইউজিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ইডিইউ যে প্রক্রিয়ায় অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তা প্রশংসাযোগ্য।
প্রধান বক্তা ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ইউজিসি। নতুন বিভাগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হলে সারাদেশে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে নীতিমালা গ্রহণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মান অনুসারে শ্রেণিবিভক্ত করা যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মু. সিকান্দার খান বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিভাবক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন মহামারীতে অনলাইন ক্লাসের অনুমতি প্রদান করে যুগোপযোগী ভূমিকা রেখেছে। এতে বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবিরতা ও পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ড. নাজিম উদ্দিন, ড. মাহমুদুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ড. রকিবুল কবির প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।