অনলাইন ও আইপিটিভি তদারকিতে হচ্ছে আলাদা উইং : তথ্যমন্ত্রী

| বুধবার , ১৭ মার্চ, ২০২১ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন ও আইপিটিভিসহ অন্য সমপ্রচার মাধ্যমে যা সমপ্রচার হয় সেগুলো দেখার জন্য একটা আলাদা উইং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আপাতত আমাদের যে জনবল আছে সে জনবল দিয়েই উইংটি শুরু করবো। পরবর্তীসময়ে আমরা জনপ্রশাসনে লিখবো এখানে আরো জনবল সংযোজন করা জন্য। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা নাম পরিবর্তনের জন্য কেবিনেট ডিভিশনকে লিখেছিলাম। কেবিনেট ডিভিশন সেটি পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আবার কেবিনেট ডিভিশন হয়ে গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্যপ্রধান ও সরকারের কাজগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা ছাড়াও সমপ্রচারের কাজটি করে আসছে। সম্প্রচারের কাজটি তথ্য মন্ত্রণালয় করে। এজন্য আমরা চাচ্ছিলাম যে এই মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হোক। সে কারণে আমরা নাম পরিবর্তন করে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয় করার জন্য প্রস্তাব পেশ করেছিলাম।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নাম শুরুতে দেশের প্রথম সরকার বা মুজিবনগর সরকারের সময় ছিল তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়। এরপর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন বা বিজনেস অব অ্যালোকেশন ঠিক করা হলো তখন এ মন্ত্রণালয়ের নাম দেওয়া হয় তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়। তারপর ১৯৭৫ সালের পরে ১৯৮২ সালে এ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে তথ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়।
যেহেতু আমরাই সমপ্রচারের কাজটি দেখভাল করি এবং রেগুলেট করা আমাদের দায়িত্ব- এ কারণে কাজের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্যই এ প্রস্তাবটি করেছিলাম। এছাড়া ভারতেও এ মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয় এবং পাকিস্তানেও এ নাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় নাম থাকার কারণে নানা বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নামে আরো একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। এতে দেখা যায় তাদের চিঠি আমাদের কাছে আসে এবং আমাদের চিঠি তাদের কাছে চলে যায়, এরকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্পেশাল সার্ভিসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ব্যবসায়ী
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে স্বেচ্ছাসেবা ক্যাম্পিংয়ের উদ্বোধন