অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সাহেব চট্টগ্রামের বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী দেশে–বিদেশের বড় মাপের জননন্দিত ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত।
তিনি চট্টগ্রামের স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীর প্রবীণতম সাংবাদিক হিসাবেও বহুল আলোচিত ও পরিচিত। যদিও সামনাসামনি কখনো সাক্ষাৎ হয়নি তবুও উনার কার্যক্রমের ধারাবাহিক ইতিহাস পড়ে ও লোক মুখে শুনে জানতে পারলাম তিনি ব্যক্তি হিসাবে অত্যন্ত খাঁটি ও অতুলনীয় ব্যক্তি ছিলেন। অতিশয় মিষ্টভাষী আন্তরিক ও মানবতাবাদী এবং নম্র ও ভদ্র প্রকৃতির লোক ছিলেন। চট্টগ্রামের গৌরব–গাথায় তাঁর নাম জনমানুষের মুখে মুখে নিত্য বিচরণ করে। তিনি চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র হলেও দেশ ও জাতির গর্ব হিসেবে ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সকলের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি মানুষ হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে এবং সাংবাদিক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে অতি মহৎ ও আদর্শিক চিন্তা ভাবনার অধিকারী ছিলেন। তাঁর সহমর্মিতা, সৎ বিবেচনা, পরম সহিষ্ণুতা ও আধুনিকতা, সামজিক প্রগতির প্রতি আস্থা তাঁকে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানকে একটি মহৎ অবস্থানে নিয়ে গেছে। তিনি ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। তিনি ঐতিহাসিক চট্টগ্রামের ধারক এবং বাহক হিসেবেও রাজনীতির অঙ্গনে আদর্শ সেনানীর ভূমিকা পালন করে গেছেন। সাহিত্যসাংস্কৃতি ও সাংবাদিকতার অঙ্গনকে তিনি আলোকিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
খালেদ সাহেব তাঁর কৃতকর্মের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। আমরা তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে তাঁকে স্মরণ করে থাকি। প্রতিবছর চট্টগ্রাম একাডেমির পক্ষ থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। খালেদ সাহেবের মতো ক্ষণজন্মার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।











