দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক লিগ অব এসোসিয়েশন ফর রিউমাটোলজির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. তারেক শামসের সঞ্চালনায় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল ফয়েজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ডা. মুলকুতুর রহমান, ডা. একরামুল হক, অধ্যাপক ডা. সিরাজুল হক, অধ্যাপক ডা. আমির হোসেন, অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ জয়, ডা. মেহেরুন্নিসা খানম, ডা. গোলাম মোস্তফা শামীম ও ডা. রাইক রিদওয়ান প্রমুখ।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, কর্মক্ষেত্রে অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ। তাঁর সরল প্রজ্ঞাময় কথাগুলো আমাদের সকলকে এখনো অনুপ্রাণিত করে। আমরা আজ যখন চিকিৎসকরা গুড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস নিয়ে কথা বলি, আমরা শুধুমাত্র নৈতিক উৎকর্ষের উদাহরণটি পূরণ করার চেষ্টা করতে পারি, যা তিনি মূর্ত করেছেন। অধ্যাপক রিদওয়ান রহমানের স্মৃতি সর্বদা চিকিৎসকদের জন্য সততা, প্রজ্ঞা এবং সেবার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ বলেন, অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানের অনুপস্থিতি দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। এ অভাব পূরণ হওয়ার নয়।
সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ বলেন, একজন কৃতী চিকিৎসক, একজন সফল গবেষক এবং একজন অনুকরণীয় শিক্ষক এই তিন এর সমন্বয় ঘটেছিল অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমানের মধ্যে। তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা কর্মে অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
এর আগে গতকাল সকালে অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার কাঞ্চনা গ্রামে পরিবারের পক্ষ থেকে কোরান খতম, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কাঞ্চনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৫০ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল ১ হাজার ২৩০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এছাড়া সকল রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশেদা সামাদের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।