অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন–ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ–সুবিধা প্রাপ্য হবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। খবর বাসসের।
জুলাই সনদ জারি করায় জামায়াতের ধন্যবাদ, গণভোট ও নির্বাচন একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ‘ধন্যবাদ’ জানালেও একই দিনে গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের ঘোষণায় ‘নিন্দা’ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। খবর বিডিনিউজের।
সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে প্রথমে বৈঠকে বসে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ। এরপর আলাদা বৈঠক হয় জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক আট দলের, যারা নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, প্রধান উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ জারি করেছেন; এটা আমি মনে করি, উনি সঠিক করেছেন। এটা আরও আগে করা দরকার ছিল, জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করলে সময়ক্ষেপণ আরও কম হতো। তারপরও ওনাকে আমরা সনদ জারির জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সনদের কার্যকারিতার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে যে গণভোট অপরিহার্য, এখানে উনি আবার বিভ্রান্ত তৈরি করেছেন এ কথা বলে যে, গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। এটা আমরা নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা আহ্বান জানাই যে, এটা উনি প্রত্যাহার করবেন।’
তাহের জানান, শুক্রবার (আজ) সকালে মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনের কথার বিরোধিতা করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আজকে প্রধান উপদেষ্টার দুটো ঠুনকো যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, একটা হচ্ছে যে, কিছুটা সাশ্রয় হবে। হ্যাঁ সাশ্রয় কিছু হবে। কিন্তু জাতির প্রয়োজনে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে তো বাজেট খরচ হয়; তো সে হিসাবে যেটা খরচ হবে, এটা উপকারের চেয়ে অত্যন্ত নগণ্য। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে গণভোটে যেগুলো মানুষ হ্যাঁ বলবে, সেগুলো বাস্তবায়নে তো জটিলতা তৈরি হবে, যেগুলোর উপর ইলেকশন হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচন এবং বিভিন্ন দাবি–দাওয়া নিয়ে যে জট লেগে আছে, সেটির সুষ্ঠু সমাধান হবে, এমনটাই আশা করেছিল সমমনা দলগুলো। কিন্তু ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জাতির মুক্তির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তার ভাষণে কিছু বিষয় আছে, যা বিবেচনায় নেওয়া যায়। আবার কিছু বিষয় আছে, যেটির কারণে ভালো দিকগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে।’
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া পরওয়ার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।












