ষাটের দশকে চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রনেতা, ক্রীড়া সংগঠক অধ্যক্ষ প্রফেসর শায়েস্তা খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। নগরীর সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার ভোর পাঁচটায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রফেসর শায়েস্তা খান কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল সোমবার বাদ আসর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিসকিন শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
প্রফেসর শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। ষাটের দশকে সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রনেতা ছিলেন শায়েস্তা খান। গণঅভ্যুত্থানসহ তৎকালীন রাজনীতিতে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পেশাগত জীবনে প্রফেসর শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ, ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। প্রফেসর শায়েস্তা খানের আদি নিবাস নগরের চান্দগাঁওয়ের হায়দার আলী নাজির বাড়ি। তাঁর পিতা মরহুম আজিজ উল্লাহ খান এবং মাতা মরহুমা মোহসেনা বেগম। তিনি এক পুত্র ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ডা. ইশতেয়াক আজিজ খান, কন্যা ফারজানা জেসমিন খান, জামাতা মেরিনার ক্যাপ্টেন ফসিউর রহমান ও নাতি–নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
খেলা অন্তপ্রাণ মানুষ ছিলেন প্রফেসর শায়েস্তা খান। ১৯৯০ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চিটাগং মেট্টোপলিটন কমার্স কলেজ ও উদয়ন–ছোটদের স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ২০০১ সালে তাঁকে বর্ষসেরা ক্রীড়া সংগঠক নির্বাচিত করে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি।
এদিকে, প্রফেসর শায়েস্তা খানের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস এর সভাপতি সাইফুল ইসলাম সহ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটি, কাউন্সিলরবৃন্দ, সিজেকেএস কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সকল সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ–সভাপতি সিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হুমায়ুন কবির, সহ–সভাপতি মির্জা সালমান ইস্পাহানী, সংস্থার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ইবাদুল হক লুলু ও নির্বাহী সদস্য তৈয়বুর রহমান। এতে আরও শোক প্রকাশ করেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পত্রিকা প্রকাশক ওসমান গণি মনসুর, মমতাজুল হক রুক্কু, মিনহাজ উদ্দিন আহমদ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, এডভোকেট সিরাজুল হক, ফরিদ আহমদ নওশাদ আলম চৌধুরী, অধ্যাপক সুমন বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, এম এ মুসা বাবলু, জাহেদুর রহমান, মনোরঞ্জন সাহা, মোহাম্মদ মারুফ, আবদুল গফুর পন্টি, সেকান্দর কবির, মনোতোষ ঘোষ, আবদুল হাই জাহাঙ্গীর, রাকিব মাহমুদ, নাসির মিয়া, মাহবুবুল আলম ভূইয়া মুকুল, ইয়াসিন আরাফাত, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, সিজেকেএসের সাবেক সহ সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, কল্লোল সংঘের সহ–সভাপতি মো. নাসির মিয়া, মাদার বাড়ি মুক্ত কন্ঠ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
এছাড়া প্রফেসর শায়েস্তা খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম চট্টগ্রামের সিনিয়র সহ–সভাপতি এম এ মালেক, সহ–সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ সর্দার, সহ–সভাপতি শামসুল আলম শামীম, সহ–সভাপতি অধ্যাপক কাজী শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুল আলম কাদেরী প্রমুখ। প্রফেসর শায়েস্তা খানের মৃত্যুতে জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দও গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।