সীতাকুণ্ডের বেগম রোকেয়া খ্যাত সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জরিনা আখতারের সংবর্ধনায় সভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি শুধু একজন শিক্ষকই নন, তিনি সীতাকুণ্ডের নারী শিক্ষার বাতিঘর। সীতাকুণ্ডের নারী শিক্ষায় তিনি যেভাবে বছরের পর বছর পরিশ্রম করেছেন তা একেবারে অতুলনীয়। মাধ্যমিক পর্যায়ের একটি বালিকা বিদ্যালয়কে ডিগ্রিতে উন্নীত করাসহ জাতীয়করণে জরিনা আখতারের ভূমিকা সীতাকুণ্ডের মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে। তিনি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেননি, নিজের করে নিয়েছিলেন। আর এর ফলেই উত্তর চট্টগ্রামের অনন্য এক বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজ। গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জরিনা আখতারকে সংবর্ধনা দেয় কলেজের শিক্ষক পরিষদ। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর রাশেদ মোহাম্মদ ইকবালের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক মোহাম্মদ ইমাম হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, শিক্ষক সুকদেব রুদ্র, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বনানী দত্ত, নাজলী শফিক, মোহাম্মদ সুমন, সাবিনা আখতার প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথির সম্মানে মানপত্র পাঠ করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শামীমা নার্গিস। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির জীবন ও কর্মের উপর দুটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শিত হয়। জরিনা আখতারের সংবর্ধনা উপলক্ষে কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক, নাটক ও দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সংবর্ধনার জবাবে জরিনা আখতার বলেন, একজন সাধারণ মানুষের জন্য অসাধারণ একটি আয়োজন করে ফেলা হয়েছে। আমি শুধু মানুষ হিসেবে আমার উপর যে দায়িত্ব ছিল সর্বান্তকরণে সেটিই পালন করার চেষ্টা করেছি। দেশের অর্ধেক নারীকে পিছিয়ে রেখে সমাজ এগুতে পারবে না। তাই আমি এলাকার নারীরা যাতে শিক্ষিত হয়, সেই চেষ্টা করেছি। তিনি সমাজের উন্নয়নে নারী শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। আর শিক্ষাই শুধু তোমাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাবে।