আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১৭তম অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হলো মেহেদী হাসান মিরাজের। যদিও তিনি এই গুরুভার পেয়েছেন চোটে পড়া নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে। নেতৃত্ব দিতে নেমে ব্যাটিংয়ে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ। একইসঙ্গে ম্যাচটি তার শততম মাইলফলক ওয়ানডে। ব্যাট হাতে এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৬৬ রানের ইনিংস। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে নিজের ওয়ানডে অভিষেকে ফিফটি করেছেন মিরাজ। রানের হিসাবে যা তৃতীয়। এ তালিকায় সবার ওপরে শান্ত’র নাম। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নেতৃত্বের অভিষেকে তিনি ৭৬ রান করেন। ১৯৯৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল করেন ৬৬ রান। এরপরই অবস্থান মিরাজের আজকের ইনিংসের। এ ছাড়া হাবিবুল বাশার সুমন (৬১) ও সাকিব আল হাসান (৫৪) অভিষেক ওয়ানডেতে ফিফটি করেছিলেন। মিরাজ শততম ওয়ানডে ম্যাচের মাইলফলক গড়েছেন বাংলাদেশের পক্ষে গতকাল টস করতে নেমেই। এরপর স্মরণীয় ম্যাচটি রাঙালেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিতে। এর আগে বাংলাদেশের এমন মাইলফলক ওয়ানডেতে ফিফটির রেকর্ড আছে আরও দুজনের। তারা হচ্ছেন মুশফিকুর রহিম (৬৯) ও হাবিবুল বাশার (৫৭)। মুশফিক ২০১১ এবং বাশার ২০০৭ সালে মাইলফলক এই ম্যাচ খেলেছেন। এদিকে, বিব্রতকর একটি রেকর্ডও গড়েছেন মিরাজ। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন টাইগার শিবির বিপদে, সেই পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাটিং করেন তিনি। ফলে তার ফিফটি সম্পন্ন হয়েছে ১০৬ বলে। যা বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের ওয়ানডেতে সবচেয়ে ধীরগতির। একইসঙ্গে ওয়ানডেতে এটি ডানহাতি এই ব্যাটারের চতুর্থ ফিফটি। একশ বলের বেশি খেলে এতদিন হাফসেঞ্চুরির (২১০১ সালে ১০৫ বলে) রেকর্ডটি ছিল জুনায়েদ সিদ্দিকীর দখলে। বিব্রতকর রেকর্ডের শীর্ষস্থান থেকে তাকে মুক্তি দিলেন মিরাজ।