চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হলের ব্যবহৃত পানিতে অধিক হারে আয়রনের পরিমাণ বেড়েছে। এতে বাড়ছে নানা পানিবাহিত রোগ, সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভোগান্তির। হলজুড়ে পানির এ সমস্যা হওয়ায় বাধ্য হয়ে অজু–গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে এই হলুদ পানি দিয়েই।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলের পানি দেখে কেউ ম্যাঙ্গো জুস বা ড্রিংকস মনে করতে পারেন। একদম হলুদ রংয়ের পানি। পান করার জন্য আলাদা পানির ফিল্টার থাকলেও গোসল করা, কাপড় ধোয়া এবং আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রতিদিনই এই আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত পানির সমস্যায় ভুগছেন তারা। অজু, গোসল এবং সারাদিন কাজে ব্যবহার করতে হয় টেপ থেকে আসা রঙিন পানি। ওয়াশ রুমে অতিরিক্ত পরিমাণে আয়রন, ময়লা এবং পানি নোংরা থাকায় নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশংকা রয়েছে। অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধানের
দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এই ব্যাপারে শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া থেকে এসেছি। আমার অবর্তমানে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নতুন উপাচার্য মহোদয়কে হলের বিভিন্ন সমস্যার কথা অবহিত করেছেন। তবে পানিতে আয়রনের বিষয়টি সমাধানের জন্য গত বছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নতুন ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ওয়াশরুমগুলো মেরামত করা হয়েছিল। নতুন করে সমস্যা দেখা দিলে সেটিও সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।