মানুষকে জীবনের প্রয়োজনেই বাইরে যেতে হয়, পথে চলতে হয়, কিন্তু এই পথেই প্রতিদিন অসংখ্য জীবন- প্রদীপ নির্বাপিত হয়। বর্তমান যুগে পথের উপর এখন চলে অসংখ্য ঘাতক দৈত্য। আর এই ঘাতক দৈত্যেরা হলো বর্তমান যুগের আধুনিক যানবাহন। এই যানবাহনকে নিয়ন্ত্রণ করে একজন মানব। যা চালক নামে পরিচিত। একজন চালকের হাতে থাকে অসংখ্য মানুষের তাজা প্রাণ। কিন্তু আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে চালকদের অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা এবং উদাসীনতা। আমাদের দেশের বাস-ট্রাক-রিকশা প্রভৃতি চালকগণ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। দুর্ঘটনার পর দেখা যায় চালকের অদক্ষতা এবং লাইসেন্সবিহীন। তাদের ভুলের কারণে বলিদান দিতে হয় সাধারণ জনগণকে। পরিলক্ষিত করা যায়, চালকের গাড়ি চালনার সময় ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা, অন্যমনস্কতা, কানে মুঠোফোন লাগিয়ে কথা বলা, মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালানো, একজন চালক অন্য চালকের সাথে প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানো। প্রতিনিয়ত দেখা যায় চালকের মধ্যে আগে যাওয়ার প্রবণতা থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া চালকদের সিগনাল ও ট্রাফিক আইন মানার ব্যাপারেও উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। আমার মতে, সড়ক পথে নিরাপদ ভাবে চলাচল করতে হলে অবশ্যই চালকদের দক্ষ এবং বিবেক মনুষ্যত্বগুলো জাগ্রত করতে হবে। কারণ তাদের বুঝতে হবে, জনগণ যানবাহনে উঠলে তাদের প্রাণগুলো ওদের হাতেই থাকে। তাই চালকরা গাড়ির চালনা দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত না হলে তাহলে অদক্ষ চালকের গাড়ি চালনায় জনগণের জন্য ভয়ংকর অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে।