অতুলনীয় হয় মায়েরা

মিতা দাশ | রবিবার , ১১ মে, ২০২৫ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

ছোটকালে আদর পেয়ে পেয়ে বড় হওয়া এই আমি এখনো বড় হওয়ার পরও মায়ের আদর আমার জন্য একটুও কমেনি, বরং আরো বেড়েছে। কৈশোরে মা ছিলো বন্ধু, আমার এটা সবচেয়ে বেশি সুখময় ছিলো জীবনে। সবার ছোট বলে আমি বরাবরই বেশি আদর, ভালোবাসা পেতাম, আজো পাই।

অধিক সন্তান হলেও মাকে দেখেছি সবাইকে সমান চোখে দেখতে। অপরূপা ছিলো মা, আমাদের যত্ন নিতে নিতে নিজের দিকে তাকানোর সময় পেতো না। বিকেলে লম্বা চুল গুলো বেঁধে যখন একটা টিপ পড়তো অপূর্ব লাগতো মাকে। আমি কালো বলে মার ঐ ফর্সা রং দেখে মন খারাপ হতো। আমি কেন মায়ের মতো হইনি এই প্রশ্ন মনে ভেসে বেড়াতো বারবার। রাতে মায়ের সাথে না ঘুমালে আমার ঘুম হতো না। এ এক অন্য রকম টান। মাকে স্কুল থেকে এসে সব কথা না বললে ভালো লাগতো না। কোথায় কি হয়েছে সব এসে বলতাম মাকে। বাবাকে খুব ভয় পেতাম আমরা। মাই ছিলো আমাদের বন্ধু, ভালোবাসা, সাহায্যকারী সব। মাকে ছেড়ে একরাতও কোথাও থাকতে পারতাম না। যখন ঢাকায় পড়তে যাই তখন প্রতিদিন কান্না করতাম মায়ের জন্য। মা ছিলেন আমার রত্নগর্ভা। পাঁচটা মেয়েই চাকরিজীবী, চারজন শিক্ষক একজন স্বাস্থ্যসেবায়। ছেলেটাও ব্যবসা করে। তবু আজো চিন্তা করেন কারো একটু অসুখ হলেই।

একজন মা নিজের কথা না ভেবে সারাদিন সকলের কথা, সকলের ভালো থাকার কথা ভাবতে ভাবতেই জীবন পার করে দেন। বৃদ্ধ বয়সেও তাদের ছুটি মেলে না সংসার থেকে। তখন শুরু হয় নতুন দায়িত্ব নাতি নাতনিকে মানুষ করে দেয়ার। কি মায়াবতী, মমতাময়ী মা। মায়ের ঋণ শোধ করার নয়। মা থাকলে ঘরে থাকে আনন্দ, ভালোবাসা, শান্তি ও আরামের বন্যা। দুঃখে সুখে, বিপদে আপদে সর্বক্ষণ মায়ের দোয়া ও আশীষ পাওয়া যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা, তুমি আমার জীবনের আলো
পরবর্তী নিবন্ধআমার সর্বংসহা মা