নগরীতে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল দিনের বিভিন্ন সময় অতিবৃষ্টির কারণে নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজও নগরীতে বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই সাথে বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি হতে পারে। অপরদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের এলাকায় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সাথে জড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পেখাঁজ জানা গেছে, গতকাল দিনভরও থেমে থেমে কখনো মাঝারি ও কখনো অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নগরীর জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট বাদুরতলা, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়া মিয়াখান নগর, পাঠানটুলী চৌমুহনী এবং আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ নগরীর আরো কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে এটি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
এদিকে বৃষ্টির কারণে কর্মজীবী নারী–পুরুষদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যায়। বাড়তি ভাড়া গুণে অনেকে বাধ্য হয়ে সিএনজি টেক্সি ও রিকশাযোগে গন্তব্যস্থলে পৌঁছেন। নগরীর ২নং গেট এলাকায় কথা বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল কালামের সাথে। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেকক্ষণ সড়কে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও গাড়ি পাচ্ছি না।
পতেঙ্গা আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজও বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মিলবে।