চার মাস পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক একেএম মাইনুল হক মিয়াজী বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সবকিছু ভালোভাবে তদন্ত করেছে কমিটি। তবে সিন্ডিকেট সভার আগে এর বেশি কিছু বলা যাবে না। খবর বাংলানিউজের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৮তম সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডা হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। তাই বিষয়টি সিন্ডিকেটের এজেন্ডাভুক্ত হয়নি। তবে বিষয়টি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ তাই আগামীকাল সিন্ডিকেট সভায় এটা উপস্থাপন করা হতে পারে।
গত ৩ মার্চ ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ৫টি অডিও ফাঁস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে টাকা লেনদেনের বিষয়টি এক নিয়োগ প্রার্থীকে বলতে শোনা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারীর ফোনালাপে। এছাড়া একটি কল রেকর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। এ ঘটনায় উপাচার্যের সহকারীকে পদ থেকে বদলি করা হয়। পাশাপাশি ফার্সি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।