কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ওশান সিটি, সবুজবাগ আবাসিক এলাকা, বাটাখালীস্থ স্বপ্নপূরী কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্নস্থানে কিশোর গ্যাং, পকেটমার, ছিনতাইকারী, চোর সিন্ডিকেট সদস্যদের রমরমা অবস্থা
চলছে। তারা অবস্থা বুঝে বহিরাগতদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে। তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গতকাল রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঘটে বাটাখালীস্থ স্বপ্নপূরী কমিউনিটি সেন্টার এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চিরিঙ্গা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ও তার ভাই ফিরছিলেন মহেশখালীর হোয়ানকের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে পৌরশহরের বাটাখালী স্বপ্নপূরী ক্লাবের কাছে পৌঁছুলে চারজনের একদল ছিনতাইকারী গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় ভাই ও বোন কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছিনিয়ে নেয় কানের দুল, নগদ টাকা ও হাতে থাকা মোবাইলটিও। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর ওড়না কেড়ে নিয়ে অশ্লীল ছবিও ধারণ করে তারা।
সিএনজি অটোচালক জসীম উদ্দিন জানান, বাটাখালীস্থ মাতামুহুরী সেতুর ওপর গাড়ির গতিরোধ করে ছিনতাইকারীর দল। এ সময় তাকে গাড়িটি স্বপ্নপূরী কমিউনিটি সেন্টারের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। এর পর কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে এবং যাত্রী ভাই-বোনকে বেদম পেটাতে থাকে দুইজন। অপর দুইজন ছাত্রীর কানের দুল, ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ইসলাম বাবুল জানান, ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তিনি ছুটে যান। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানার পর ছিনতাইকারীদের আটকাতে চেষ্টা করেন। তন্মধ্যে হারুন বাদশা নামের এক ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় মোবাইলটিও। তবে অন্য মালামাল উদ্ধার হয়েছে কী-না তিনি জানেন না।
পুলিশ জানায়, আটক ছিনতাইকারী হারুন বাদশা (২২) পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকার জনৈক মাইক বাদশার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও একই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, তাদের বাড়ি মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে। রবিবার সকালে ভাই-বোন মিলে চকরিয়ায় আসেন আত্মীয়ের বাড়িতে। বেলা আড়াইটার দিকে তারা বাড়ি ফিরছিলেন সিএনজি অটোরিকশায় চেপে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা রুজু করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি। ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।












