অটোপাশে চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থী বেড়ে দ্বিগুণ

৭ ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ মার্চ, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

এমবিবিএস ১ম বর্ষের এবারের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের) ভর্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবছরের তুলনায় বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গতবছর (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) কেন্দ্রের অধীনে এমবিবিএস ভর্তিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২১১ জন। এবার পরীক্ষার্থীর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯০৫ জনে। এইচএসসিতে অটোপাশের কারণে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহেনা আক্তার।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাশের ঘোষণা দেয় সরকার। আর পরীক্ষা ছাড়াই বিকল্প পদ্ধতিতে (জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে) মূল্যায়নের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে করে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেড়ে যায়। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায়ও।
এদিকে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় কেন্দ্রের অধীন ভেন্যুর সংখ্যাও বাড়াতে হয়েছে চট্টগ্রামে। গতবার ৫টি ভেন্যুতে পরীক্ষা নেয়া হলেও আরো দুটি ভেন্যু যুক্ত করতে হয়েছে এবার। এ তথ্য নিশ্চিত করে মোট ৭টি ভেন্যুতে এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহেনা আক্তার।
চমেক প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চমেক কেন্দ্রের অধীনে এবার চমেক ক্যাম্পাস, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াসা ও জিইসি ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
এর মধ্যে কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভেন্যু এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে। তবে গতবার ভেন্যু হিসেবে থাকা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তক ক্যাম্পাস এবার বাদ পড়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় ভেন্যুর পাশাপাশি পরীক্ষার হলও বাড়াতে হয়েছে এবার। গতবার ৭৫টি পরীক্ষার হলে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। এবার পরীক্ষা হলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৬টিতে।
চমেক প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৩টি ভেন্যুতে চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬৬৩ জন। ২০১৭ সালে ভেন্যু ছিল ৫টি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৬ জন। এর আগে ২০১৬ সালে ৫টি ভেন্যুতে ৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায়। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শাহেনা আক্তার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার হলে ৩ ফিট দূরত্বে পরীক্ষার্থীদের বসানো হবে, যার কারণে পরীক্ষার হলের সংখ্যা অনেক বাড়াতে হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই মাস্ক পরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্র তদারকিতে প্রতি ভেন্যুতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে চমেক অধ্যক্ষ বলেন, মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিমের সদস্যরাও কাজ করবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তো থাকছেনই। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে ১২ সদস্যের কোর কমিটি ছাড়াও আরো একাধিক কমিটি (ভর্তি পরীক্ষা কমিটি, লিঁয়াজো কমিটি, ভেন্যু কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি এবং প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও সরবরাহ কমিটি) গঠন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য, আগামী ২ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের এমবিবিএস ১ম বর্ষের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষা গ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটাকা দিলে ফিট না দিলে আনফিট
পরবর্তী নিবন্ধলকডাউনের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী