একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। তারা আমাদের আলোকিত সন্তান। আপনারা অভিভাবকেরা কখনো তাদের ঘরে বন্দি রাখবেন না। তাদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবেন। এতে তারা বাইরের পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত হতে শিখবে।
গতকাল শনিবার বিকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভায় সংবর্ধিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন হাটহাজারীর নন্দীরহাটে দশতলা বিশিষ্ট ‘মায়া কানন’ নামের যে ভবন করার উদ্যোগ নিয়েছে সেই উদ্যোগের সাথে আমি আছি। এই ভবন নির্মাণে আমার যা সহায়তা দরকার হবে তা আমি করব। অটিজম আক্রান্ত মা’দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আজাদী সম্পাদক বলেন, আজকে আপনাদের কষ্টের কারণে অটিস্টিক শিশুরা স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত বিশেষ অতিথি বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, সাহিত্য অঙ্গনে অনেক সাধনা করে আমি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছি। এতে আমি স্বাভাবিকভাবে আনন্দিত হয়েছি। তবে আমার আরো ভালো লাগছে, আজকের অনুষ্ঠানে অটিজম আক্রান্ত শিশু শুভনীল দাশ রীবুর গান শোনে। কারণ যে শিশু ১০ বছর বয়সেও কথা বলতে পারত না, সে আমাদের গান শোনাচ্ছে। এর চেয়ে তৃপ্তি এবং আনন্দদায়ক আর কিছু হতে পারে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী। প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ ও অধ্যাপক টিংকু চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয় চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ওয়াহিদুল আলম, সাবেক লায়ন জেলা গভর্নর ডা. শ্রীপ্রকাশ বিশ্বাস, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এম জহিরুল ইসলাম রিংকু, সদস্য সচিব সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, কবি তুষার দাশ, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি খোরশেদুল আলম কাদেরী প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে অটিজম উত্তরণে নিষ্পাপ অর্ণব আলোকিত মা তপতী দাশ ও অনামিকা বিশ্বাসকে সম্মাননা দেয়া হয়।