অজেয় ব্রাদার্সকে হারের স্বাদ দিল ইস্পাহানী

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে থামল ছুটতে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের জয়রথ। শিরোপা প্রত্যাশি দলটির আর অজেয় থাকা হলো না। টানা চার ম্যাচে জয়ের পর পঞ্চম ম্যাচে এসে হারের তিক্ত স্বাদ নিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ফলে শিরোপা পুনরুদ্ধারের দৌড়ে হোঁচট খেল ব্রাদার্স। লিগে এখন একমাত্র অপরাজিত দল

চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব ৩০ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। এই হারের ফলে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ব্রাদার্স। তাদের সমান পয়েন্ট রাইজিং স্টার ক্লাবেরও। ৫ ম্যাচে সবকটিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার

উপরে আবাহনী লিঃ। গতকাল ব্যাটেবলে দুর্দান্ত খেলেছে ইস্পাহানী। আগের চার ম্যাচের একটি জয় আর একটি টাই করে ৩ পয়েন্ট ছিল ইস্পাহানীর। গতকাল জায়ান্টকে বধ করে আরো দুই পয়েন্ট তুলে নিল ইস্পাহানী।

সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব শুরুটা ভাল করতে পারেনি। দুই ওপেনার ২৮ রানে বিচ্ছিন্ন হন। ৯ রান করে ফিরেন শুভ দাশ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফারদিন এবং তৌসিফ মিলে ৯৪ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন। ৬৯ রান করা ফারদিন ফিরলে ভাঙে এজুটি। ৫ রান পর

ফিরেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি। তবে চতুর্থ উইকেটে তৌসিফ এবং রাহাতুল মিলে যোগ করেন ৩৯ রান। ৫৭ রান করে ফিরেন তৌসিফ। এরপর একপ্রান্ত ধরে রেখে লড়াই করেন রাহাতুল। তবে অপর প্রান্তে ইমরুল করিম এবং আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে যোগ্য সহযোগিতা দিয়েছে। ইমরুল ২১ বলে ২৫ রান এবং

মামুন ১৩ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ইস্পাহানীর ইনিংসকে নিয়ে যান ২৭৫ রানে। অপর প্রান্তে ৬৪ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তিনি ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা মেরেছেন। ব্রাদার্স ইউনিয়নের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন আরমান।

২৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল মঈনুল এবং ইলিয়াছ সানি। ৫ ওভারে ৩৩ রান যোগ করেন দুজন। ১৮ বলে ১৭ রান করা মঈনুলকে ফেরান রনি। এরপর নাবিলের সাথে আরো ৩০ রান যোগ করেন ইলিয়াছ সানি। ২১ বলে ২৪ রান করা সানিকেও ফেরান রনি। এরপর জুটি বাধেন

নাবিল এবং শিশির। এদুজন বেশ স্বাচ্ছন্দে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। গড়েন ৯১ রানের জুটি। ৫৬ বলে ৪৬ রান করা শিশিরকে ফিরিয়ে এজুটিও ভাঙেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি। এই জুটি ভাঙতেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ১৭১ রানের মাথায় ফিরেন নাবিল। ৭৬ বলে ৬৫ রান করা এই তরুন

ব্যাটারকে ফেরান শাহরিয়ার শরীফ। ৫ রান পর ফিরেন আল আমিনও। এরপর জুটি বাঁধেন দুই অভিজ্ঞ মোমিনুল হক এবং মাহমুদুল হাসান লিমন। দুজন স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। কিন্তু দুজন ৫২ রান যোগ করলেও দলকে আর জেতাতে পারেনি। ৪৫ তম ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন ইমরুল করিম।

আর তাতেই হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাদার্সের। ওভারের প্রথম বলেই ২৮ রান করা মোমিনুলকে দিয়ে শুরু ইমরুলের। তৃতীয় বলে ফেরান নাকিবকে। আর শেষ বলে তার শিকার জায়েদ উল্লাহ। ৪৮তম ওভারে খেলার ইতি টেনে দেন আরিফুল ইসলাম জনি। ওভারের তৃতীয় বলে ব্রাদার্সের শেষ ভরসা মাহমুদুল

হাসান লিমনকে ফেরানোর পর পঞ্চম বলে ফেরান ইকবাল হোসেনকে। আর তাতেই ৪৭.৫ ওভারে ২৪৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ২৬ রান করেন লিমন। ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি এবং ইমরুল করিম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আরিফুল জনি এবং শাহরিয়ার শরীফ।

আজকের খেলা : মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বনাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধচেসা ফুটসাল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত