তুমি শ্রীঘরে গিয়ে
আমাকেই আতংকিত করেছো বেশ
কেননা, আমার বহুরূপী গুরুও
তোমার সুনিশ্চিত অনুগামী
স্রোতের প্রবল স্রোতে
শ্যাওলার অবিচল দাঁড়ানো
আমার গুরু নৃত্যরত, অবিরত
ষাটদশকের নিরীহ বুড়োদের মাঝে
তিনিই হয়ে ওঠেন
আলোর তীব্র মধ্যমণি
কারণে অকারণে উঁচিয়ে ধরেন
পিতার আবহমান গতানুগতিক পরিচয়
সড়ক দখলে নেয়, পথঘাট,
কবিতার পেলব পৃষ্ঠাবলিও
ছন্দে লিখেন, মন্দে লিখেন
শিরোমণি নির্বাসনে পাঠিয়ে
স্বয়ং হয়ে ওঠেন অনন্য প্রতিভূ
ষোড়শ শতকের কিংবদন্তি পুরুষের
তোমার স্বীকারোক্তি –সত্য মিথ্যা
হতেও পারে। হতে পারে
স্থাপিত তোমার জ্ঞানী পান্ডবকূল
পঠন পাঠনে সময়কে অতিক্রম করে
অদ্য সিদ্ধহস্ত
যে অঙ্গনে তোমার নির্লাজ স্বজনপ্রীতি,
পংকিল চাষাবাদ
সেখানে আমার গুরুর ছিলো
স্বয়ং স্বকীয় পুত্রকেই চাপিয়ে দেয়া
অতঃপর নির্বিচার সকল কিছুই যথারীতি
সাপের খোলস ছাড়ানো
পুতঃপবিত্র রক্তিম তৈলাক্ত শিক্ষাগুরু
আমার গুরুরই উপযুক্ত পূর্বসূরী তুমি
তোমার অগস্ত্য অগ্রযাত্রা
আমাকে আজ সত্যিই চরম
আতংকিত করে…..