অস্বাভাবিকভাবে ব্যবসায়ীর ৫ কোটি ২ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৭ টাকা সুদ মওকুফ করার দায়ে অগ্রণী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপককে শো’কজ করেছে আদালত। এছাড়া বিআরপিডি সার্কুলারসহ প্রচলিত ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় স্বচ্ছতার সাথে উক্ত সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হয়েছে কিনা তা একজন যুগ্ম পরিচালক দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় ১ কোটি টাকা ঋণ আদায়ে ২০০৭ সালে নবাব সিরাজুদ্দৌলা রোডের ব্যবসায়ী ও রেহান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক মঞ্জুরুল আমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি জারি মামলা করে অগ্রণী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত উক্ত ঋণ আদায় হয়নি। এর মধ্যে সুদসহ উক্ত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬ কোটি টাকা। এর মধ্য থেকে অস্বাভাবিকভাবে ৫ কোটি ২ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৭ টাকা সুদ মওকুফ করে দেওয়া হয়। এজন্য অগ্রণী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপককে শো’কজ করা হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তিনি জবাব দেবেন।
আইনগত খরচ আদায় না করে মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত দাখিল করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আদেশের কপি কেন পাঠানো হবে না তা তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।








