আবার যাতে কেউ অগ্নিসন্ত্রাস করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পঞ্চম পর্যায়ে সারা দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চরিত্র জানেন, একেবারে সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসী। গতকালকেও দেখেছেন কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। তিনি বলেন, যারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, পেট্রোল বোমা বা আগুন দিয়ে চলন্ত গাড়ি, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্কুল কোনো কিছু তারা বাদ দেয়নি। ২০১৩–১৪ সালে পুড়িয়েছে, গতকালকেও তাদের ভয়ংকর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবার দেখলাম। খবর বাংলানিউজের।
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেন আবার বাংলাদেশের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সবার কাছে আমার আহ্বান থাকবে। তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই, দেশের মানুষ ভালো থাকুক সেটাই চাই। অন্য দলগুলো ইসলামের কোনো খেদমত করেনি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ইসলামের কোনো খেদমত করেনি। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না।
মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামের মর্মবাণী যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে, মানুষ যাতে বুঝতে পারে, সঠিকভাবে ধর্ম চর্চা করতে পারে, ইসলামি জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চা করতে পারে সেজন্য মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। মসজিদের খুতবায় সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম বিষয়ে কথা বলার জন্য ইমামদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজে নানা ধরনের অপকর্ম হয়। সেগুলো থেকে মানুষ যেন বিরত থাকে। যৌতুক, বাল্যবিয়ে, জঙ্গি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অসামাজিক কাজ। এ বিষয়গুলো খুতবায় বলা, মানুষকে সচেতন করা।
সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল ধর্ম।
পঞ্চম পর্যায়ে সারা দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কঙবাজার সদর এবং খুলনার ফুলতলা উপজেলা মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।