অক্সিজেনে পলিথিন কারখানা ও বেকারি সিলগালা

পরিবেশ দূষণের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া পলিথিন উৎপাদনের অপরাধে একটি পলিথিন কারখানা ও একটি বেকারি সিলগালা করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল রোববার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সিলগালার পাশাপাশি কারখানা দুটির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। অভিযানে উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌসসহ পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। পলিথিন কারখানাটির মালিক স্থানীয় সাব্বির রহমান নামের এক ব্যক্তি। অন্যদিকে বেক ফুড নামের ওই বেকারির মালিক হলেন মো. নাদিম। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, অক্সিজেন এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া কারখানা পরিচালনার অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর কারখানাটিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে ৫৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে। পরে তাদের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু কারখানা মালিক শুনানিতে হাজির না হয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখেন। স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করেন, রাতের বেলায় কারখানাটিতে পলিথিন উৎপাদন করে জনজীবন ব্যাহত করছে। রোববার অভিযান চালিয়ে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ বেক ফুড নামের কারখানাটি আবাসিক এলাকায় ও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চালানো হচ্ছিল। কারখানাটিতে খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। বেকারিটির বিস্কুট তৈরির চুলোর ধোঁয়া নিঃসরণের জন্য স্থাপিত চিমনির যথাযথ উচ্চতাও নেই। এছাড়া বেকারিটিতে ব্যবহৃত মিঙার মেশিনে চালানোর জেনারেটরটি ডিজেল চালিত। জেনারেটরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কোন ক্যানোপি স্থাপন করা হয়নি। যে কারণে আবাসিক এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় কারখানাটির উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী জানান, ‘আবাসিক এলাকায় পলিথিন কারখানা ও বেকারি কারখানা পরিচালনা করে পরিবেশ দূষণসহ জনজীবন বিপর্যস্ত করার কারণে কারখানা দুটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। কারখানা দুটির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। পলিথিন কারখানার মালিককে এরআগে শুনানিতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা হাজির হননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৪ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালনের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধভালোবাসা দিবসে ৫০ ছিন্নমূলকে খাবার দিল এইচপিএফ