আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নারী বিশ্বকাপের এবারের আসর। তবে সেটি এখন অনেকটা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দল দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ৩ থেকে ২০ অক্টোবর অবধি হওয়ার কথা রয়েছে নারী বিশ্বকাপের এবারের আসর। গতকাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করেছেন। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এখন বেশ বেহাল। এ অবস্থায় ‘অপেক্ষা করা ও দেখা’ এই নীতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। প্রতিটি সদস্য দেশেই নিজেদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক রয়েছে তাদের। ওই দলকে দিয়েই এখন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা। পিটিআইকে আইসিসির এক কর্মকর্তা বলেন প্রতিটি সদস্য দেশেই আইসিসির নিজস্ব নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ রয়েছে। পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও সাত সপ্তাহ বাকি আছে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার। ভেন্যু বদল হবে কি না এ ব্যাপারে মন্তব্য করা এখনও অনেক দূরের বিষয়। একই রকমের পরিস্থিতির মুখে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে পড়েছিল আইসিসি। তখন দেশটির রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ে রাজাপক্ষেকে তার আবাসস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয় জনতা। মার্চে এই ঘটনার পর জুনে অবশ্য দেশটিতে সফর করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তবে বাংলাদেশে বড় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো আসে কি না, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।