ঘর থেকে প্রায় গুলি ছুড়তেন। হাটহাজারীর দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে আগে থেকেই স্বজনদের অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে গত রোববার ৫ নং ওয়ার্ডের বকুলতলা আহমদিয়া পাড়ায় গুলি ছুড়ে আহত করেন ভাতিজাকে। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এলে আবারও গুলি ছোড়েন তিনি। বিভিন্নভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কথা না বলে গত সোমবার রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি করতে থাকেন। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে ৮৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধকে আটক করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ওসি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সারা রাত বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও না পেরে সকাল ৮টার দিকে কৌশলে তার ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ প্রবেশ করে। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সময় তার ঘর থেকে লাইসেন্স করা একটি শটগান, একটি রিভলবার এবং প্রায় ৫০ রাউন্ড শটগানের ও তিন রাউন্ড রিভলভারের গুলি জব্দ করা হয়।
দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সরওয়ার জানান, হাবিবুল্লাহ স্বাধীনতার পরপর ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। হাবিবুল্লাহর অকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনা নিয়ে স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে পারিবারিক বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে যোগ দিতে হাবিবুল্লাহকে ডাকতে যান তার ভাতিজা হামিদুল্লা জসিম। এ সময় তিনি গুলি ছুড়ে আহত করেন জসিমকে।
ওসি রুহুল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুল্লাহর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি কথা না বলে বারবার গুলি ছোড়েন। রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি করতে থাকেন। সকালে তার ঘরের দরজা খোলার সময়ও তিনি এক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তিনি জানান, আটক হাবিবুরের বিরুদ্ধে লাইসেন্স করা অস্ত্র অপব্যবহারের অভিযোগে অস্ত্র আইনে একটি এবং ভাতিজাকে গুলি করে আহত করায় আলাদা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, ভাতিজাকে গুলি করার ঘটনায় আহত হামিদুল্লা জসিমের ভাই মো. শাহেদ বাদী হয়ে গতকাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে আহত জসিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহাজাহান বাদশা ও তার স্বজনেরা জানিয়েছেন।