নগরে এবার ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে দরপত্র আহ্বান করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল শনিবার জমা দেওয়ার শেষ দিনে মাত্র চারটি পশুর হাটের জন্য দরপত্র জমা পড়ে। চার হাটের মধ্যে আবার দুটিতে দর পড়েছে সরকারি মূল্যের চেয়ে কম। এদিকে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন গতকাল দুপুরে হট্টগোল হয়েছে টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে। এ সময় ইজারাদারদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। অভিযোগ আছে একে অপরকে কিল–ঘুষি মারারও। অবশ্য এ সময় নগর ভবনে ছিলেন না মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি নগর ভবনের বাইরে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মেয়র আগ্রহী সবাই দরপত্র জমা দিতে পারবেন ঘোষণা দেন। কেউ বাধা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগর ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়র কার্যালয়ের পাশে দরপত্র জমা দেওয়ার বক্সটি রাখা হয়। বেলা ১২টা থেকেই দরপত্র জমা দেওয়া ইজারাদারদের মধ্যে হট্টগোল ও উত্তেজনা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর মেয়র বের হয়ে তাদের উদ্দেশে বলেন, সবাইকে বক্সে টেন্ডার ফেলতে দিতে হবে। যদি কেউ বাধা দেয় আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমি বলছি, টেন্ডার সবাই ফেল। সবার অধিকার আছে টেন্ডার ফেলার। নিয়মতান্ত্রিকভাবে বক্সে সবাই টেন্ডার ফেলবে। এরপর আগ্রহীরা দরপত্র জমা দেন। পরে বেলা সোয়া ২টায় প্রধান কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থিত সম্মেলনকক্ষে ফরম জমাদানকারীদের উপস্থিতিতে দরপত্র বাঙ উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্র বাঙ উন্মুক্ত করার পর প্রধান কার্যালয়ের বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে কিল–ঘুষি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন আজাদীকে বলেন, টেন্ডার জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় দুই পক্ষ ‘পূর্বে এই কাজ করেছিস বলে’ কিল–ঘুষি মেরেছে। পরে দেখা গেছে, যাকে মনে করে ঘুষি মেরেছে সে না। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, বিশৃঙ্খলা করার যারা চেষ্টা করেছে সিসিটিভি দেখে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। যদি দলের কেউ হয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দুটি বাজারে কাঙ্ক্ষিত দরের চেয়ে কম পড়েছে। সেগুলো রি–টেন্ডার করা হবে।