গত আট মাসে ৫ লাখ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৬৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি’র পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়জুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। এসব অভিযানে ৩ লাখ বোতল ফেনসিডিলও জব্দ করা হয়েছে। ইয়াবা ও ফেনসিডিল এই দুই মাদকই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। বিজিবির এই অভিযানগুলোতে বিদেশি মদ প্রায় ৫০ হাজার বোতল, ১৪ কেজি হেরোইন, উত্তেজনা নাশক ইনজেকশন, ট্যাবলেট ছাড়াও ৩৭ কেজি সোনা আটক করা রয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে আনা ৬ লাখের ওপর প্রসাধন সামগ্রী, শাড়ি, থ্রিপিস, শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়, ৩২টি ট্রাক, ১৮টি প্রাইভেটকার, ১৫২টি অটোরিকশা, ৫৬১টি মোটর সাইকেলও জব্দ করা রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এই আট মাসে ২২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার উদ্ধারের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় ২ হাজার চোরাকারবারিকেও ধরা হয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে ৩৪৪ জন বাংলাদেশি এবং ৯৬ জন ভারতীয়কেও আটক করা হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর বলেন, বিজিবি দেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও বিজিবির কোনো সদস্য করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারাননি। তবে বর্তমানে প্রায় অর্ধশত আক্রান্ত আছেন। মিয়ানমার সীমান্তে তাদের শক্তি বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কী করছে- এ প্রশ্নের জবাবে বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, আমরাও খবর পেয়েছি, জেনেছি। মিয়ানমার সীমান্তে বরাবরের মতোই আমাদের জনবল সতর্ক আছে।