টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার আট বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে এখনও প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
হত্যাকারী কারা এবং হত্যার কারণও বের করা গেছে; তাড়াতাড়িই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে, বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার আট বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে এখনও প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৪ সালের আলোচিত এ খুনের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডির নয়জন কমকর্তা পরিবর্তন হয়ে এবার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, আমি এ মামলার দশম আইও (তদন্ত কর্মকর্তা)। এ মামলায় আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর একজন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা হত্যাকারী কারা, তা বের করতে পেরেছি। হত্যার কারণও বের করতে পেরেছি। তাড়াতাড়ি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় ইসলামী বক্তা এবং ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুকীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার ছেলে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। বর্তমানে এটি সিআইডির তদন্তাধীনে রয়েছে। সবশেষ গত ৭ অগাস্ট মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তা দাখিল করতে পারেননি। এ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৬২ বার সময় নেয় তদন্ত সংস্থা। এখন আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ঠিক করা রয়েছে। তবে ওই দিনও তা উপস্থাপন করা হবে কি না তা নিয়ে বরাবরের মত সংশয় ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকীর।












