৮ দিন পর সেন্টমার্টিনে ট্রলার যাতায়াত

ফিরে গেলেন ৩০০ বাসিন্দা টেকনাফ এলেন শতাধিক মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৪ জুন, ২০২৪ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে আট দিন অপেক্ষায় থাকার পর সেন্টমার্টিন ফিরে গেলেন ৩০০ বাসিন্দা। সেখান থেকে টেকনাফে ফিরেছেন হোটেল কর্মচারীসহ বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকে পড়া ২৫০ মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকেলে চারটি ট্রলারে করে কাঙ্ক্ষিত এ আসাযাওয়া চলে। মিয়ানমারের ওপার থেকে ট্রলার ও নৌযান লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার গুলি ছোঁড়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টানা আট দিন টেকনাফসেন্টমার্টিন ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল।

সরেজমিনে টেকনাফ জেটিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফে আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের ৩০০ জন বাসিন্দা ডিঙি নৌকা করে চারটি ট্রলারে উঠে। ট্রলারগুলো বড় বড় ঢেউ উপেক্ষা করে রাত ৮টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে পৌঁছে। অপরদিকে সেন্টমার্টিনে আটকে থাকা আড়াইশ জন মানুষ সকালে রওনা দিয়ে দুপুরের দিকে টেকনাফে পৌঁছে। তবে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে কোনো ট্রলার সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে পারেনি।

সেন্টমার্টিনে পৌঁছে বয়োবৃদ্ধ আবদুস সালাম বলেন, কয়েকদিন পর কোরবানির ঈদ। এ নিয়ে মূলত দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে নিজ ভূমিতে ফিরে ভালো লাগছে। সাথে পরিবারের জন্য কিছু খাদ্যদ্রব্যও নিয়ে আসলাম। আরেক বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, এখানে খাদ্য সংকটে ভুগছি আমরা। সেন্টমার্টিনটেকনাফ আসাযাওয়ার জন্য বিকল্প রুট শিগগিরই চালু করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। জানা যায়, আজ শুক্রবার কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ করে খাদ্যদ্রব্য ও আরও ৪০০ জন মানুষ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজার ইনচার্জ হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমাদের জাহাজ মূলত পর্যটন মৌসুমে চলাচল করে। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমাদের জাহাজটি সেন্টমার্টিন যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন থেকেও নানা ভোগান্তিতে থাকা মানুষ নিয়ে আবারও কঙবাজার ফিরে আসবে এমভি বার আউলিয়া।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এসব হোটেল কর্মী, কাজ করতে আসা শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে সেন্টমার্টিনে এসে আটকা পড়া এসব মানুষকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিকল্প পথে ফেরানো হয়েছে টেকনাফে। সময় যত যাচ্ছে ততই অনিশ্চয়তা বাড়ছে দ্বীপের মানুষের মাঝে। খাদ্য সহায়তা খুবই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, ঈদের ছুটি বা বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া লোকজনকে নিয়ে চারটি ট্রলার রওনা হয়। ট্রলারগুলো মূলত বঙ্গোপসাগর হয়ে টেকনাফে পৌঁছে। তিনি জানান, খাদ্য সামগ্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে নৌযান সেন্টমার্টিন যাবার কথা ছিল সেটি যেতে পারেনি। কারণ বুধবার থেকে নাফ নদের একটি এলাকায় ব্যাপক গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকল্প পথে হয়তো আজ শুক্রবার কঙবাজার থেকে এ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাল ডিবি
পরবর্তী নিবন্ধহজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ