দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বায়েজিদের পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজায় নাগিন পাহাড়ের আশেপাশে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ ও প্লট তৈরির অপরাধে আবারো এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের শুনানিতে হাজিরের নোটিশ দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত পৃথক শুনানিতে ৮ জনকে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে শুনানিতে হাজির না হওয়ায় পরিবেশ আইনে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে ‘নাগিন পাহাড় বাঁচবে না?; রাতের আঁধারে মাটি নিয়ে যান প্রভাবশালীরা, পাহাড়ি ভূমিতে তৈরি হচ্ছে ভবন’ শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজার নাগিন পাহাড় এলাকায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয় অভিযান পরিচালনাকারী টিম। গতকাল নির্ধারিত সময়ে ১৯ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান শুনানিতে হাজির হলে ৯টি এনফোর্সমেন্ট মামলা নিষ্পত্তি হয়। তন্মধ্যে ৮ জনকে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তন্মধ্যে মো. জসীম উদ্দিন পাটোয়ারী ও মো. মুসলীম উদ্দিনকে ৭০ হাজার টাকা করে, মোহাম্মদ মাহবুব আলমকে ৯০ হাজার টাকা, জাহাঙ্গীর আলম গং ও মো. ইলিয়াছ গংকে ১ লক্ষ টাকা করে, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে ৪০ হাজার টাকা, মো. ওলিউল্লাহকে ৬০ হাজার টাকা এবং মো. আরিফুর রহমান গংকে ৫০ হাজার টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) আরোপ করা হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম শহরের একটি নামকরা পাহাড়গুলোর মধ্যে নাগিন পাহাড় ছিল অন্যতম। এই পাহাড়কে বেশ কয়েকবছর ধরে ক্রমান্বয়ে কেটে সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে পাহাড়-টিলা শ্রেণির ভূমিতে নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বহুতল ভবনও নির্মিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নাগিন পাহাড় এলাকায় ধারাবাহিক এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ৩৪ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যারা শুনানিতে হাজির হননি তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।