দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দেওয়া শুরু হবে। পাশাপাশি নিবন্ধিতদের প্রথম ডোজের টিকাও দেওয়া হবে। লকডাউন এবং রোজার মাসে চলবে টিকাদান। দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য এসএমএস পাঠানো শুরু হওয়ার কথা রয়েছে গতকাল সোমবার থেকেই। এসএমএসে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আগের টিকাদান কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। গত রোববার অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কোর কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
কোর কমিটির সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৬ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে টিকা পরিবহন শুরু করতে হবে। টিকা সরবরাহ কাজে বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালস সহায়তা করবে। জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি নিজ নিজ জেলার টিকা গ্রহণ করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, লকডাউনের সময় টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। কারণ টিকা নিতে আগ্রহীরা এই কার্ড দেখিয়ে রিকশা অথবা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান। যারা জানুয়ারির ২৮ তারিখে প্রথম টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন ২৮ মার্চ। আর যারা ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৪ জন অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে এখন পর্যন্ত এক কোটি এক লাখ ডোজ টিকা মজুদ আছে।