নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম চেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত সার্চ কমিটি; রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনের পাশাপাশি যেকোনো ব্যক্তি নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। এজন্য চার দিন সময় দিয়ে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সর্বোচ্চ পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা যাবে। গতকাল রোববার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের নিজ নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বা ই–মেইলে (মভঢ়থংবপ@পধনরহবঃ.মড়া.নফ) পাঠানো যাবে। ৭ নভেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে নামের সুপারিশ পাঠানো যাবে। খবর বিডিনিউজের।
সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে গত বৃহস্পতিবার সার্চ কমিটি গঠন করে সরকার। ছয় সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। গতকাল সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ সার্চ কমিটি বৈঠকে বসবে বলে তথ্য দিয়েছিলেন। এরপরই নতুন ইসি গঠনে নাম চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এক মাসের মাথায় ৫ সেপ্টেম্বর বিদায় নেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন, যাদের অধীনে এ বছরের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। সেই সংস্কার শেষে নতুন ইসির অধীনে হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর ন্যূনতম ঐক্যমত্যের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের টাইমলাইন। বিচারপতি জুবায়েরের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাই কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।