৬ মাসে তারের জঞ্জালমুক্ত হবে নগরের তিন ওয়ার্ড

ভূ-গর্ভে যাচ্ছে ইন্টারনেট ও ডিশের তার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চসিকের চুক্তি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৩ মার্চ, ২০২৪ at ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শহরকে তারের জঞ্জালমুক্ত করতে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর গৃহীত উদ্যোগটি অবশেষে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। ভূগর্ভে যাচ্ছে নগরের তিনটি ওয়ার্ডের ওভারহেড ক্যাবল বা ঝুলন্তভাবে থাকা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, কেবল টিভি নেটওয়ার্কের তার (ডিশ সংযোগ) ও জেনারেটর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তার। এ বিষয়ে গতকাল সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)

চুক্তির আওতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে লালখান বাজার, জামালখান ও বাগমনিরাম ওয়ার্ডের ওভারহেড ক্যাবল অপসারণ করে ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়া হবে। এতে সাফল্য এলে পুরো শহরের ওভারহেড ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। আজ চট্টগ্রামে এক নতুন যুগের সূচনা হলো। সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ডিশ, ইন্টারনেট সংযোগের ক্যাবল ব্যবস্থাপনা হলে বৈদ্যুতিক পিলারে দুর্ঘটনা কমবে, শহরের সৌন্দর্য বাড়বে। আবার তার কাটা ও চুরি রোধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টগ্রামের যে গুরুত্ব আছে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে তারের জঞ্জালের জন্য। নগরের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে চাই। আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩টি ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশইন্টারনেটের তার ভূগর্ভে নিয়ে যাব। এরপর তিন ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পুরো নগরীর ডিশইন্টারনেটের তার ভূগর্ভে নিব।

সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম বলেন, ড্রেনেজ এবং স্যুয়ারেজ সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে ডাক্টিং করে আমরা জলনিরোধক ফাইবার অপটিক অবকাঠামো গড়ে তুলব। ‘ফাইবার টু দ্যা হোম’ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মূল সড়ক থেকে অলিগলি এবং সেখান থেকে প্রতিটি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে কোনো আইএসপি যত ইচ্ছা গতির সংযোগ গ্রহণ করতে পারবে। সেবা প্রদানে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে না। এছাড়া আগামী ৫ বছরের মধ্যে ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানরা ডিজিটাল ডিশ ক্যাবল চালু করবে। এ বিষয়টিও মাথায় রাখব। ৩টি ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুরো শহরকে তারের জঞ্জালমুক্ত করব।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, বোর্ড ডিরেক্টর ফাদিয়া খানসহ চসিক ও সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা।

নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন আজাদীকে বলেন, বৈদ্যুতিক পোলে ডিস ও ইন্টারনেট ক্যাবলের জঞ্জাল অপসারণের মাধ্যমে নান্দনিক শহর গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছি আমরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপালিয়ে আসা ১৭৯ জন বিজিবির হেফাজতে
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬