বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে স্বীকৃত দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, এতদঞ্চলের প্রথম মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার মরহুম আলহাজ্ব আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে। দীর্ঘ প্রায় ৬৬ বছর ধরে চট্টগ্রামের মুখপত্র হিসেবে আজাদী যে ভূমিকা রাখছে, তার সূচনা করেছিলেন এই কৃতী পুরুষ। গতকাল তাঁর ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক আজাদী মিলনায়তনে বাদ আছর মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মধ্যম হালিশহরের তৈয়বিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, আলা–হযরত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও কদম মোবারক জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী। মাহফিলে বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। শেষে বিশেষ মোনাজাতে মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, সাবেক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদসহ দৈনিক আজাদীর প্রয়াত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে দেশ ও জাতির সুখ–সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব এবং চট্টগ্রামের মানুষের নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা বলেন, তিনি শুধু একটি সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠাই করেননি, বরং এ অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে, আলোকিত করতে সারাজীবন নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদী আজ মাটি ও মানুষের মুখপত্র হিসেবে স্বীকৃত।
বক্তারা উল্লেখ করেন, আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক ভাস্বর মিনার। তিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়াসহ বহু শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জামেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল কোহিনুর প্রেসের দোতলা থেকে, যা বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
বক্তারা বলেন, আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো যুগের পর যুগ সমাজে আলো ছড়িয়ে যাবে। আর তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দৈনিক আজাদী অটল ও একাগ্র থাকবে।