৫ দিন পর সচল হল এনজিওগ্রাম মেশিন

চমেক হাসপাতাল

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে পাঁচদিন পর সচল হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের একমাত্র এনজিওগ্রাম মেশিন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর এনজিওগ্রাম মেশিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ায় রোগীরা ভোগান্তির শিকার হন। বিশেষ করে হার্টের এনজিওগ্রাম ও রিং লাগানোর কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন আবার মেশিনটি সচল হওয়ায় রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, যন্ত্রাংশ নষ্টের বিষয়টি মেশিনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের জানানোর পরে গতকাল তারা এসে সেটি মেরামত করে দিয়েছেন। এর আগে গত দেড় বছর আগেও যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার কারণে এই মেশিনটি দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকে।

হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, গত চার বছর ধরে জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের একটি মেশিন দিয়ে টিপিএম, পিপিএম, এনজিওগ্রাম, পেরিপাইরাল এনজিওগ্রাম ও রক্তনালীতে রিং স্থাপনের কাজ চলছে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রামে হৃদরোগের প্রকোপ বেশি। হৃদরোগের চিকিৎসায় উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারত, সিঙ্গাপুরব্যাংককসহ বিশ্বের উন্নত দেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের একমাত্র ভরসা চমেক হাসপাতাল। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের কয়েক কোটি মানুষ এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর উদ্দিন তারেক আজাদীকে বলেন, চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার কারণে এনিজওগ্রাম ও রিং লাগানো বন্ধ ছিল। তবে গতকাল সেটি সচল করা হয়েছে। আশা করি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে আমরা পুরোপুরি কাজ করতে পারবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপিকে ভোট দিতে চান ৪৫.৬ শতাংশ মানুষ, জামায়াতকে ৩৩.৫
পরবর্তী নিবন্ধইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ