চট্টগ্রাম কাস্টমসে আজ চার লটে ৫ কোটি টাকার খেজুর ও কমলা প্রকাশ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। নিলাম উপলক্ষে ইতোমধ্যে নগরীর ফলমণ্ডিসহ দুই কিলোমিটার এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার জন্য পচনশীল পণ্যগুলো প্রকাশ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। প্রকাশ্য নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে যাচাই বাছাই শেষে বিক্রয় অনুমোদন দেয়া হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ১১৩ টাকা মূল্যের ২৪ টন খেজুর প্রকাশ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টায় ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৩ টাকা মূল্যের আরো প্রায় ২৫ টন খেজুর নিলামে তোলা হচ্ছে। অপরদিকে দুপুর ১২টায় ৯২ লাখ ৩ হাজার ৩২৩ টাকা মূল্যের ৪৯ হাজার ৯২০ কেজি (প্রায় ৫০ টন) কমলা নিলামে তোলা হচ্ছে। দুুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ২৪ হাজার ৯০০ কেজি কমলা (প্রায় ২৫ টন) নিলামে তোলা হচ্ছে।
জানা গেছে, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্যপণ্য পচে যাওয়ায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসে অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা সজল কান্তি দাশ বলেন, আমরা পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলাম সম্পন্ন লক্ষ্যে প্রকাশ্য নিলাম আয়োজন করছি। আগেও বেশ কিছু লট পণ্য প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি হয়েছে। এবার একই প্রক্রিয়ায় খেজুর ও কমলা নিলামে তোলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।