৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ঢাকায় বিক্ষোভ

পুলিশের লাঠিচার্জ

| সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

চার দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার পথে পুলিশের ‘লাঠিচার্জের’ শিকার হওয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) ১৮ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ‘লংমার্চ’ নিয়ে যাওয়ার পথে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। বাধা উপেক্ষা করে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে। পরে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়াও ঘটে। পুলিশের তাড়া খেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের দিকে চলে যান। খবর বিডিনিউজের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, সেখানে অন্তত ১৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন মেহরাব, জাহিদুল হাসান কায়েস, এরসাদুল হক, তাহমিনা আক্তার তমা, রাসেল, সুমাইয়া খাতুন, সাইমা ইসলাম সিনথিয়া, সোহাগ, আমান উল্লাহ, সিহাব আহমেদ, কে এম আরাফাত রেজা, জাহিদুল হাসান, নাইম, সোহরাব উদ্দিন, রায়হান গাজী, আসিবুল ও সায়েম।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে শাহবাগের সড়ক অবস্থান নেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সাড়ে ১১টার দিকে তারা অবস্থান নেন শাহবাগ মোড়েই অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে বিকালে লংমার্চ শুরু করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। তবে লংমার্চ শুরুর আগে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে শাহবাগে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবি। তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আজহারুল হক রামিম, মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহমদ উল্লাহ মানসুর ও শামীম মিঞাকে নিয়ে সচিবালয়ে যান। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাসিবুল ইসলাম শান্ত বলেন, আমরা সচিবালয়ে আছি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন কালপরশুর মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে। দেখা যাক কী হয়, এখনও আলোচনা চলছে।

কিন্তু আলোচনা চলার মধ্যেই লংমার্চ নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। এর কারণ জানতে চাইলে হাসিবুল ইসলাম শান্ত সন্ধ্যা ৬টার দিকে বলেন, আমাদের কিছু ছোট ভাই আবেগে এটা করে ফেলেছে। আমরা এখানে আসার সময় তারা মিটিংয়ের ফল আধা ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছিল। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা হয়ে গিয়েছিল; আর আমাদের তারা বারবার কল দিচ্ছিল। কিন্তু মিটিংয়ে থাকায় আমরা তা ধরতে পারিনি। এ কারণে তারা লংমার্চ নিয়ে চলে আসে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোথায় আছেন জানতে চাইলে শান্ত বলেন, তারা এখন রাজু ভাস্কর্য, শাহবাগ ও প্রেস ক্লাবের দিকে আছেন। তাদের সবাইকে শাহবাগে যেতে বলেছি। সেখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি দেব।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা কবে প্রজ্ঞাপন জারি করবেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি; সময় চেয়েছেন।

দেশে ১৬টি সরকারি এবং ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। এরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাহিদ মালেক ও নাঈমুল ইসলাম খানের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
পরবর্তী নিবন্ধআইনজীবীর এনআইডি জালিয়াতি করে ঋণ, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা