৪ ইউনিটে বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু ১টি

কাপ্তাই লেকে অস্বাভাবিক পানি হ্রাস

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৭ জুন, ২০২১ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই লেকে পানির অভাবে অস্বাভাবিকহারে কমে গেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। সাধারণত ৫টি ইউনিট সচল থাকলেও বর্তমানে ১টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এদিকে এখন আষাঢ় মাস চললেও মিলছে না বৃষ্টির দেখা। ফলে লেকে পানি জমা হচ্ছে না। এভাবে আর সপ্তাহখানেক চললে পানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কাপ্তাই লেকে বর্তমানে পানি রয়েছে ৭৪ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে বর্তমানে পানি থাকার কথা ৮০ ফুট এমএসএল। নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে ৬ ফুট এমএসএল পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংকট তৈরি হয়েছে। কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি জেনারেটর চালু থাকলে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। কিন্তু বর্তমানে চালু রয়েছে মাত্র ১টি জেনারেটর। ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪০ মেগাওয়াট। কাপ্তাই লেকে পানি কম থাকার কথা স্বীকার করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই লেক। বৃষ্টি হলে লেকে পানি বাড়বে। এছাড়া ভারত সীমান্তেও যদি বৃষ্টিপাত হয়, সেই পানিও বিভিন্নভাবে কাপ্তাই লেকে এসে পড়ে। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তেও বৃষ্টিপাত নেই। তাই লেকে পানি বাড়ছে না। বৃষ্টি অথবা সীমান্ত থেকে লেকে পানির ধারা না এলে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বর্তমানে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে তার পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। লেকের পানি যদি ৬৮ ফুট এমএসএল’র নিচে নেমে আসে তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাবার পর থেকে এ পর্যন্ত পানির অভাবে ৬ বার বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, যে কোনো মুহূর্তে ভারী বর্ষণ শুরু হবে। টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টি হলে কাপ্তাই লেকে পানি সংকট দূর হবে। তাই এখন ভারী বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিসিবির পণ্য বিক্রি আজ থেকে ফের বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা