প্রায় ৪০ বছর পর জঞ্জালমুক্ত হয়েছে নগরীর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একাধারে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে কলোনির ১০৬টি বাসার অবৈধ স্থাপনা ও মসজিদ মার্কেটের ২০টি দোকান। কলোনির প্রায় সবগুলো ভবনের নীচতলার বাসিন্দারা বাসার বাইরের খালি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে এসব স্থাপনা তৈরি করেছেন। তাছাড়া অবৈধভাবে দখলে থাকা ১৪টি সরকারি বাসাও দখলমুক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক খিন ওয়ান নু দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘সিজিএস কলোনিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরাই নিজেদের বাসার সামনে অবৈধভাবে স্থাপনা বানিয়েছেন। প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে এসব স্থাপনা বানানো হয়েছে। আবাসন পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের বেশ কয়েকবার নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। গতকাল সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’ চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, সিজিএস কলোনির ভবনগুলোর সামনে এতোদিন জঞ্জাল বানিয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর এ জঞ্জালমুক্ত করেছি সিজিএস কলোনিকে। অভিযানে জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া র্যাব, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন অভিযানে সহযোগিতা করেন। মোট ১০৬টি বাসার অবৈধ বর্ধিতাংশ ও ২০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধভাবে সরকারি বাসা দখলে রাখা ১৪ বাসিন্দাকেও উচ্ছেদ করা হয়েছে।