বাঁশখালীর চাম্বলে শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনের একদিন আগে সভাপতি প্রার্থীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচন স্থগিত করাকে কেন্দ্র প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় দীর্ঘ ভোগান্তির কবলে পড়ে যাত্রীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে সুরাহা করার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় শ্রমিক ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাঁশখালীর চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া রিকশা চালক ও অটোরিকশা সিএনজি (ফোর স্ট্রোক) শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির নির্বাচনের তারিখ ছিল আজ শনিবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনের চেয়ার প্রতীকের সভাপতি প্রার্থী মো. সেলিম উদ্দিন চাম্বল বাজার থেকে আটক করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কিছু শ্রমিক থানায় অবস্থান নিয়ে মো. সেলিমকে ছাড়িয়ে নিতে চান। শুক্রবার সেলিমকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানান সেলিমের ভাই।
এদিকে নির্বাচনের একদিন আগে সভাপতি প্রার্থীকে আটকের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশংকায় নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান। সে খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত বাঁশখালীর প্রধান সড়কের চাম্বল এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। এতে সড়কের দুপাশে শত শত গাড়ি ৩ ঘণ্টা যাবত আটকে পড়ে। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে উপজেলা ও থানা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকে শ্রমিকেরা। পরে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর শ্রমিকদের ৫ সদস্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরিফুর রহমান টিপু ও মো. ফজলুল কাদের, সহসভাপতি প্রার্থী রেজাউল কাদের, সদস্য প্রার্থী মো. রাসেদ ও মো. রিদুয়ানকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামশেদুল আলমের কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। এ সময় বাঁশখালীতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর দল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জসিম উদ্দিন, থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলামসহ নির্বাচনে দায়িত্বরত ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে সবার মতামত নেওয়া হয়েছে। সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সমবায় আইন অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ ও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।