মামলার তিন আসামিকে নিয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নির্যাতনের শিকার নারীর বাড়িতে গেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী শনিবার সকাল ১০টায় একলাসপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে যান। তার সঙ্গে ছিল নির্যাতনের মামলার নয় আসামির তিনজন বাদল, আবুল কালাম ও সাজু।
পিবিআইর আরও কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন। তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশ ঘুরে দেখেন। তবে কারও সঙ্গে কথা বলেননি তারা। এর আগে শুক্রবার সকালে পিবিআই নোয়াখালীর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শন করেন। নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। খবর বিডিনিউজের। এদিকে মামলার আসামি মাঈনুদ্দিন সাহেদকে দুই দিন হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুপুর ২টায় সাহেদকে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত হন। সাহেদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা দুই মামলায় এর আগে দুই আসামি সোহাগ ও রাসেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘরে ঢুকে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সারাদেশে শোরগোল তৈরি হয়। তখন পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। এরপর ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ৬ জন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা দুটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করে মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে। এছাড়া পর্নগ্রাফি আইনের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানকে।