সেই ১৯৮৮ সালে ভারতে সবশেষ টেস্ট জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর কয়েকবার ড্র করলেও অপেক্ষার প্রহর কেবল দীর্ঘই হচ্ছিল। এই সফরের আগে শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশড হয়ে আসা দলটিকে নিয়ে বাজি ধরার লোকও খুব একটা ছিল না। কিন্তু প্রথম দিন ৪৬ রানে ভারতের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে কিউইরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দারুণ লড়াই সামলে জয়ে রাঙাল প্রথম টেস্ট। প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিংয়ে যে সম্ভাবনা জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড, শেষ দিন সেটিকে তারা দিল পূর্ণতা। দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে টেস্ট জিতল তাসমান সাগর পাড়ের দেশটি। ব্যাঙ্গালুরু টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে আনুষ্ঠানিকতা সারতে বেশি সময় নেয়নি নিউজিল্যান্ড। প্রথম সেশনেই পেরিয়ে যায় ১০৭ রানের লক্ষ্য। পায় ৮ উইকেটের বড় জয়। ছোট পুঁজি নিয়েও গতকাল রোববার নিজেকে নিংড়ে দিয়েই লড়াই করেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। জয়ের জন্য ১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড শূন্য রানে অধিনায়ক টম ল্যাথামকে হারায়। তাকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। দলের খাতায়ও তখন কোন রান যোগ হয়নি। সাত ওভারের টানা স্পেলে আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকেও ফেরান ভারতের এই পেসার। উইকেট বুঝে উঠতে ভুল করার চড়া মাশুলই শেষ পর্যন্ত দিতে হয় স্বাগতিকদের। তৃতীয় কোনো পেসার না থাকায় আক্রমণে আনতে হয় স্পিনারদের। তাদের উপর চড়াও হয়ে প্রথম সেশনেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান উইল ইয়াং ও রাচিন রাভিন্দ্রা। ৩৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর উইল ইয়াং ও রাচিন রাভিন্দ্রা মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। ৭৬ বলে একটি ছক্কা ও সাতটি চারের সাহায্যে ৪৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে অফরাজিত থাকেন ইয়াং। ক্রিজে গিয়ে তিন বলের মধ্যে বুমরাহকে দুটি চার মারা রাচিন রবীন্দ্রা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলে করেন ৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে ১৩৪ করা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।