এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সে সম্পর্কিত কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি। অথচ আইনে এমন কার্যক্রম নিষেধ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মশলা বাজারে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনাকালে এ চিত্রের দেখা মেলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম। নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় তিনি ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মামলা দিয়ে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, আল্লাহর দান স্টোর, মেসার্স নুর ট্রেডার্স, মেসার্স খান ব্রাদার্স, মেসার্স নবীন ট্রেডার্স, শাহজাহান ট্রেডার্স ও দি চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স। এদের মধ্যে আল্লাহর দান স্টোরকে দশ হাজার টাকা, মেসার্স নুর ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স খান ব্রাদার্সকে পাঁচ হাজার টাকা, মেসার্স নবীন ট্রেডাসর্কে পাঁচ হাজার টাকা, শাহজাহান ট্রেডাসর্কে দুই হাজার টাকা ও দি চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ছয় মশলা ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। আইনে বলা আছে, ব্যবসা করতে হলে ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ প্রদর্শন করতে হবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক দামে পণ্য বিক্রয় করা যাবে না। মূল্যতালিকা বিহীন মালামাল বিক্রয় করা যাবে না। মূল্যতালিকা হালনাগাদ থাকতে হবে এবং পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকতে হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম আজাদীকে বলেন, মশলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালানো হয়েছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে ছয়জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। মূলত কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর আওতায় ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা, নির্ধারিত দামের তুলনায় অধিক দামে মশলা ও পণ্য বিক্রয়, মূল্যতালিকা বিহীন মালামাল বিক্রয় ও মূল্যতালিকা হালনাগাদ না থাকা, পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা এবং মূল্য ও পরিমাণ না থাকায় এ জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর ও পরিদর্শক মো. বেলাল উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমে সহযোগিতা করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম।