৩০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জাতিসংঘে পাঠাবে নির্মূল কমিটি

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আগামী এক বছর বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ৩০ লাখ নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জাতিসংঘসহ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সরকারের কাছে পাঠাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির ৩০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্র ও বিভিন্ন শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সকালে কেন্দ্র ও মহানগরের নেতারা মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর মধ্য দিয়ে নির্মূল কমিটির ৩০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানসূচি আরম্ভ হয়। বিকালে সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিটা গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পারতো না। গণমানুষ যদি আন্দোলিত না হতো তাহলে হয়তো আমাদের দল এবং সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এভাবে উদ্যোগ নিত না।
সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মূল কমিটি আগামী এক বছরে বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত ১৯৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ৩০ লাখ নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জাতিসংঘসহ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সরকারের কাছে পাঠাবে। ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন এবং বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের মার্চে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হলেও সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ’৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, কাজী মুকুল, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিয়ম নেই তবুও…
পরবর্তী নিবন্ধবাইডেনের আলোচিত অভিষেক আজ