ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই তালিকায় এখন পর্যন্ত ৬০টি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তবে এর মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠান তাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তদন্তকারী এই সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ও নজরদারিতে থাকা এসব প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি দেয় না, টাকাও পরিশোধ করে না। তারা প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদেরই আমরা নজরদারিতে রেখেছি। খবর বাংলানিউজের।
৬০টি প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত গ্রাহকদের কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কত টাকা হাতিয়েছে এটি হিসাব না করে বলা যাবে না। পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে।
ই-অরেঞ্জের বিথী-সোহেলের হিসাব তলব : এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক বিথী আক্তার ও তার স্বামী পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)। ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে হিসাব খোলার আবেদন ফর্ম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট সবধরনের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। তাদের নামে কোনো ফিঙড ডিপোজিট, ঋণ হিসাব, এলসি খোলা হলে সে তথ্যও দিতে হবে। এসব হিসাবের নমিনির তথ্য ও নমিনিদের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হলে সেগুলোরও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ।