অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান ২ থেকে ৩ মাস হলে কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন ভ্যাকসিনটির নির্মাতা কোম্পানি সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা।
গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস টুডে এ খবর জানিয়েছে। ২০২১ সালের শুরুতে চিকিৎসাবিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এর একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে এক মাসের ব্যবধান থাকলে এর কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। তবে এবার সেরামের সিইও জানালেন, ব্যবধান ২ থেকে ৩ মাস হলে কার্যাকিরতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আদর পুনাওয়ালা বলেন, এক মাসের ব্যবধানে ডোজ দেওয়ার সময় ভ্যাকসিনটি ৭০ শতাংশ প্রভাব ফেলে। তিনি আরও বলেছিলেন, প্রায় এক হাজার লোকের উপরে একটি গবেষণা করা হয়েছিল, যাদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে আরও একটি পরীক্ষা হয় যেখানে, দুটি ডোজের ব্যবধান ছিল ২-৩ মাস। সেই গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, যদি ভ্যাকসিনের ডোজ ২-৩ মাসের ব্যবধানে লোককে দেওয়া হয় তবে এর কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
পুনাওয়ালা আরও বলেন, আপনি যদি অন্য ভ্যাকসিনগুলোও দেখে থাকেন তবে সেখানে দুটি ডোজের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে যত বেশি ব্যবধান থাকে, ততই টিকার প্রভাব মানুষের উপর পড়বে। ভারতে গত মাসে জাতীয় বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান আট সপ্তাহ বাড়ানোর কথা নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। তবে এই ব্যবধান যেন আট মাসের থেকে বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। সেরামের সিইও জানান, ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের এক ডোজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুরক্ষা দেয়। তিনি বলেন, এক ডোজে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা পান। দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হয় দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির জন্য।