২ আসনেই হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল, আপিলে যাবেন

| সোমবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বগুড়ার দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কন্টেট ক্রিয়েটর ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়া(সদর) এবং বগুড়া(কাহালুনন্দীগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। গতকাল রোববার প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে হিরো আলমের দুটি মনোনয়নপত্রই বাতিল বলে ঘোষণা করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজের।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থকের তালিকা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দিতে হয়। সেখানে হিরো আলমের সমর্থকের স্বাক্ষরে কিছু গড়মিল পাওয়া গেছে। ফলে নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, উনার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’ প্রার্থী চাইলে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বগুড়া৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু জাতীয় পার্টি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেও দুই দফায় যাচাইবাছাই করার পর তার সেই মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। তবে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান হিরো আলম। সমপ্রতি বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর নতুন করে বগুড়ার দুটি আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ‘ভোটারদের চাওয়ার মুখে’ এবার বগুড়া৬ এবং বগুড়া৪ আসন থেকে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন হিরো আলম। সকালে এ দুই আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে হিরো আলম রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত নির্বাচনেও একই ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে আপিল করে আবার নির্বাচন করার সুযোগ পাই। গতবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এবার সেই ভুল হওয়ার কথা না।’ হিরো আলম বলেন, ‘কোন কোন ভোটার খুঁজে পায়নি জানালে তাদের আমি হাজির করাতাম। কিন্তু তাও জানালেন না। মনোনয়নপত্র বাতিলের কপি বিকাল ৪টার পর হাতে পেলে রাতেই ঢাকায় যাব এবং সোমবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো। না হলে আবারও হাই কোর্টে যাব।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিচ্ছেদের শহরে আমরা রয়ে যাব আমৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসময়টা এখন তিশার