২৭ ঘণ্টা সাঁতরে ফিরলেন টোঙ্গাবাসী

সাগরে সুনামি

| শনিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামিতে বিধ্বস্ত টোঙ্গার ৫৭ বছর বয়সী এক নাগরিক ঢেউয়ে ভেসে গিয়ে সাগরে ২৭ ঘণ্টা সাঁতরে ফিরে এসেছেন। লিসালা ফোলাউ নামের এই টোঙ্গাবাসী আবার আংশিক বিকলাঙ্গ। তিনি ঠিকমত হাঁটতে পারেন না। সিএনএন জানায়, বিশাল সমুদ্রে এত দীর্ঘ সময় ভেসে থেকে বেঁচে ফিরে এখন বাস্তব জীবনের সুপারহিরো অ্যাকুয়ামানের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ফোলাউ। টোঙ্গার গণমাধ্যম সংস্থা ব্রডকম ব্রডকাস্টিংয়ে এক সাক্ষাৎকারে ফলাউ বর্ণনা করেছেন সুনামির ঢেউয়ের ধাক্কায় তার ভেসে যাওয়া এবং সাগরে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি পাড়ি দিয়ে বেঁচে ফেরার অভিজ্ঞতা। খবর বিডিনিউজের।
গত ১৫ জানুয়ারি (শনিবার) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সুনামির সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিন জন নিহত হওয়া ছাড়াও ভেসে যায় ঘরবাড়ি। সাক্ষাৎকারে ফোলাউ জানান, ওইদিন ছোট্ট, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অ্যাটাটায় নিজের বাড়ি রঙ করছিলেন তিনি। তখনই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার ভাই সুনামি আসছে বলে তাকে সতর্ক করে। এরপর ৬ মিটারেরও বেশি উঁচু ঢেউয়ে ভেসে যান তিনি ও তার ভাগনি। দুইজনই তখন একে অপরকে ডাকাডাকি করছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আর ভাগনির ডাক শুনতে পাননি তিনি। ফোলাউ জানান, প্রথম ধেয়ে আসা ঢেউ থেকে বাঁচতে তিনি একটি গাছে চড়েছিলেন। কিন্তু গাছ থেকে নামার পরই আরেকটি ঢেউ এসে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার সন্তান তাকে উপর থেকে ডাকলেও তিনি কোনও জবাব দেননি। কারণ, সে তাকে খুঁজতে সাগরে নামতে পারে সেজন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপকূলের বালিতে বেড়িবাঁধের পাশে ভূমি ভরাট
পরবর্তী নিবন্ধবয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ, তবুও দায়িত্ব ছাড়ছেন না প্রধান শিক্ষক