ফটিকছড়িতে খালে গোসল করতে নেমে রেজিয়া বেগম (৪৭) নামে এক মহিলা নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে তার মধ্যেই এ ঘটনার পরদিন হালদা পাড়ের এক বাসিন্দার শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়েছে। জানা যায়, ১৮ জুন উপজেলার কাঞ্চনগর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধুরুং খালের কালাপানির মুখ এলাকায় বেলা ৩টার দিকে গোসল করতে যান রেজিয়া বেগম। সেখান থেকে দীর্ঘক্ষণ না ফেরাতে পরিবারের লোকজন খুঁজতে গেলে খালের পাড়ে তার কাপড় থাকলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় শতশত মানুষ খালে রাতভর হাতজালসহ বিভিন্নভাবে তল্লাশি চালিয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও সন্ধান পায়নি। পরে ডুবুরি দল খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হয়।এদিকে এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলার পূর্ব সুয়াবিল হালদা নদীর পাড়ের বাসিন্দা মানিক ড্রাইভারের দেড় বছরের শিশু কন্যা তাহিয়াকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল সকাল ১১টা থেকে ওই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহ সে কোনোভাবে নদীতে পড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিনের মধ্যে হালদা নদী এবং ধুরুং খালে ৫টি ঘটনা ঘটেছে। তদ্মধ্যে ৩টি ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য ২ ঘটনায় ২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এসব ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঞ্চননগরের ভিডিপি দলনেতা সাজেদুল ইসলাম বলেন, খালগুলোতে আপাতদৃষ্টিতে পানির গভীরতা কম মনে হলেও এর তলদেশ অপ্রত্যাশিতভাবে গভীর বা অসম হতে পারে। এছাড়া বর্ষায় উজানের পানি নেমে আসায় খালের প্রবাহ হঠাৎ বৃদ্ধি পায়, যা শক্তিশালী স্রোতের সৃষ্টি করে এবং অপ্রত্যাশিত টান তৈরি করতে পারে। এই অদৃশ্য বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অসচেতনতাও দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ।
হালদা পাড়ের বাসিন্দা কৃষক মো. সোহেল বলেন, ফটিকছড়ি হালদা এবং ধুরুং এ প্রতিবছর মানুষ মারা যায়। অনেকে বলে পানিতে ডুবে মারা যায়, তবে শুধু পানিতে ডুবে মারা গেলে লাশ স্রোতে ভেসে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঠিকই একই জায়গায় লাশ পাওয়া যায়। অথচ যে জায়গায় লাশ পাওয়া যায় সেখানে এর আগেও একাধিকবার খোঁজা হয়েছিল। এ মৃত্যুগুলোর পেছনে আসলে কী কারণ তা খতিয়ে দেখা দরকার।