২১ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

তোতা হত্যা মামলা

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি থানার আলোচিত প্রবাসী নেছার আহমেদ তোতা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জংগুকে দীর্ঘ ২১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব৭। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাঙ্গুনিয়া থানাধীন রানীরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় র‌্যাব। গ্রেপ্তার জংগু (৪০) ফটিকছড়ি উপজেলার শাহনগর এলাকার খায়ের আহমদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবা৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এআরএম মোজাফফর হোসেন।

র‌্যাব জানায়, জংগু এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাস ফেরত নেছার আহমেদ তোতাকে হত্যা করে এবং মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফটিকছড়ি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, নিহত নেছার আহমেদ তোতা ২০০৩ সালে দুবাই থেকে দেশে ফেরত আসেন। তোতার কাছ থেকে একই এলাকার এজাহার মিয়া অনেক দিন পূর্বে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেয়। নেছার আহমেদ তোতা দেশে ফেরত আসার পর তার পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে এজাহার মিয়াকে একাধিকবার চাপ প্রয়োগ করলে এজাহার মিয়া তাকে টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। নেছার আহমেদ তোতা এবং এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ল্যাডা নাছির এর মধ্যে পূর্ব থেকে শত্রুতা চলে আসছিল। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী নাছির এজাহার মিয়ার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দিবে বলে ভিকটিম নেছার আহমেদ তোতাকে আশ্বস্ত করে কৌশলে ভিকটিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরি করে। পরবর্তীতে টাকা উদ্ধারের জন্য ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ল্যাডা নাছির এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা নেছার আহমেদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় তার স্ত্রী সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। ২ নভেম্বর জানতে পারেন, দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কের উপর অজ্ঞাতনামা একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে তিনি গলাকাটা লাশটি তার স্বামীর মৃতদেহ মর্মে শনাক্ত করেন।

এরপর ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ফটিকছড়ি থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুলিশ প্রতিবেদন এবং মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ২০২১ সালের ৮ মার্চ মামলার ৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে
পরবর্তী নিবন্ধ১১ দফা দাবি আদায়ে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধন