২০ বছরে অবিশ্বাস্য সাফল্য

ফ্রোবেল প্লে স্কুল

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৮ জুন, ২০২৪ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ফ্রোবেল প্লে স্কুলের ২০ বছরপূর্তি উপলক্ষে নগরীর টাইগারপাস এলাকার নেভী কনভেনশন সেন্টারে প্রথম দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রোবেল একাডেমি এবং ফ্রোবেল প্লে স্কুলের আয়োজনে গতকাল সকাল সাড়ে ১১ টায় ‘২১ শতকের শিক্ষা ভাবনা : উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তির এক নবদিগন্ত’ শিরোনামে একটি শিক্ষামূলক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম, প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ডিএসএইচই সহকারী পরিচালক অধ্যাপক এসএম শফিউল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি, ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউর ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. সুধাংশু রঞ্জন রায়, পিএইচপি ফ্যামিলির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলীহুসেন আকবর আলী।

ফ্রোবেল একাডেমি এবং ফ্রোবেল প্লে স্কুলের অধ্যক্ষ ও পরিচালক হাওরা তেহসিন জোহাইর বলেন, ফ্রোবেল প্লে স্কুলের এই ২০ বছরের যাত্রায় আমরা যে অবিশ্বাস্য সাফল্য এবং মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি, তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। সে ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমাদের ধাবিত করেছে এই সম্মেলনের দিকে। এই সম্মেলনে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে যা শিক্ষা খাতে রূপান্তরের জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে সচেতন, যা দক্ষতার বিকাশ, উদ্ভাবনী শিক্ষার অনুশীলন, অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দেয়। এই উপাদানগুলি বিষয়ে ধারণা তৈরি এই সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল যা শিক্ষকদের সৃজনশীলতা, সহযোগিতা, গঠনমূলক সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযোজনযোগ্যতাকে সমৃদ্ধ করবে। সম্মেলনে প্যানেলিস্ট হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভারতের আহমেদাবাদের রিভারসাইড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কিরণ শেঠি, ভারতের অর্কিডসের প্রতিষ্ঠাতা ড. গীত ওবেরয়, ভারতের সুন্দরজি গ্লোবাল অ্যাকাডেমিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মিসেস মাসাররাত তাভাওয়ালা, জোডোজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা ই কে শাজি, বাংলাদেশের টেক একাডেমির প্রতিষ্ঠাত শামস জাবের, ভারতের আঞ্জুমান ও ফুটপ্রিন্ট সেন্টারের বিদিশা রায় দাস, . সোমনাথ সাহা, মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আনাম, আবু সাইফ আনসারী প্রমুখ। সম্মেলনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৮০০ এর বেশি শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীরা অংশগ্রহণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন
পরবর্তী নিবন্ধএই বাজেট কালো টাকা সাদা করার বাজেট : ফখরুল