‘২০২৫ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে’

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সভা

| বৃহস্পতিবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১:০০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঝরে পড়া রোধ, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ডিভাউসের মাধ্যমে অনলাইনে পড়ালেখার সমন্বয় করে নিয়েছে। এর পরেও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পড়ালেখার গতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠবে। আমরা সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে। তিনি গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টারড রিকভারি ঃ ন্যারোইং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।
এডিএম বলেন, বিগত ২০০৯ সাল থেকে সরকার নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর দানের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫.৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সকলে এ সাফল্যের অংশীদার। প্রতিটি শিশু ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর কাছে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেয়া সরকারের ভূমিকা অপরিসীম। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের থানা প্রোগ্রাম ম্যানেজার চন্দন কুমার বড়ুয়া ও ঘাসফুেলর প্রোগ্রাম অফিসার ফরিদা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জুলফিকার আমিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন, সরকারী কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সাহেদ মাহমুদ, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম’র প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, ঘাসফুল’র উপ-পরিচালক মফিজুর রহমান, ব্র্যাক’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন খান, অপরাজেয় বাংলাদেশ’র ইনচার্জ জিনাত আরা বেগম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সংস্থার প্র্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা চিকিৎসায় বিশ্ব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধ‘বঙ্গবন্ধু’র মুক্তি পেছালো